বগুড়ার ধুনটে প্রেম-বিয়ে, সম্পর্ক না মানায় অপহরণ মামলা দায়ের মেয়ের পরিবারের, গ্রেফতার ১

বগুড়ার ধুনটে প্রেম-বিয়ে, সম্পর্ক না মানায় অপহরণ মামলা দায়ের মেয়ের পরিবারের, গ্রেফতার ১

ধুনটে প্রায় দেড় মাস আগে নিখোঁজ হয় এক কলেজ ছাত্রী। নানা চাঞ্চল্যকর অবস্থার মাধ্যমেই চলে তার জীবন।নিখোঁজের দেড় মাস পর সানজিদা আকতার (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।একই সাথে কলেজছাত্রী অপহরণ নামে মামলা করে মেয়ের পরিবার। মামলার প্রধান আসামী আব্দুর রহমান প্রিন্স মাহমুদকেও (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


আব্দুর রহমান প্রিন্স মাহমুদ ধুনট সদরের অফিসারপাড়ার মনসুর রহমানের ছেলে। কলেজছাত্রী সানজিদা আকতার একই এলাকার হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।


গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে আসামী আব্দুর রহমান প্রিন্স মাহমুদকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কলেজছাত্রী সানজিদা আকতারকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজছাত্রী সানজিদা আকতারকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে একই এলাকার আব্দুর রহমান প্রিন্স মাদমুদ। মেয়েটির অভিভাবকের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি আব্দুর রহমান প্রিন্স মাদমুদের পরিবারকে জানানো হয়।

এতে মেয়েটির উপর আব্দুর রহমান প্রিন্স মাদমুদ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ অবস্থায় ১৭ অক্টোবর সকালের দিকে কলেজছাত্রী সানজিদাকে তার বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে অপহরণ করেন আব্দুর রহমান প্রিন্স মাদমুদ।


এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর মা শামীমা আকতার বাদী হয়ে ২৩ অক্টোবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আব্দুর রহমান প্রিন্স মাদমুদ ও তার সহযোগী রাকিব হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামী করা হয়।


তবে গোপন সুত্রে জানা গেছে, মেয়েটির সাথে প্রিন্স মাহমুদের সম্পর্ক ছিল।প্রায় দেড় মাস তারা লোকচক্ষুর অগোচরে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছে এবং বিয়েও করে। মেয়ের পরিবার বিয়ের সম্পর্ক না মানায় প্রিন্সসহ আরও ৩-৪জনের নামে মামলা করে। এক পর্যায়ে প্রিন্সকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং প্রিন্সের বাসা থেকেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে।


আসলেই মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন,”প্রিন্সের নামে অপহরণ মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আসলেই অপহরণ কিনা সেটা আদালত দেখবে

আপনি আরও পড়তে পারেন